,

আউশকান্দিতে প্রবাসীর ভূমি দীর্ঘদিন আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে আদালতের রায় পেলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্ত্বরের অদূরে নবীগঞ্জ সড়কের পাশ্ববর্তী স্থানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মালিকানাধীন ভূমি দীর্ঘদিন যাবত জনৈক প্রভাবশালী কর্তৃক জবরদখলের পর আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ভূমির মালিকানা ফিরে পেলেন প্রবাসী।
জানা যায়, ওই উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বেতাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসএসসি পাশ করেই ছোট বেলায় যুক্তরাজ্য পাড়ি জমান এবং তারা ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনিই সবার ছোট। এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্য থাকাকালীন অবস্থায় বিয়ে করে স্বপরিবারে সাংসারিক জীবন যাপন শুরু করেন। এদিকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবত স্বদেশের মাটিতে না থাকায় তার পিতৃ সম্পদ একে একে অনেক কিছুই তার হাতছাড়া হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় তারই আপন বড় ভাই মুহিবুর রহমান চৌধুরী গং কর্তৃক একটি ভূয়া ওয়ারিশান নামা সার্টিফিকেট তৈরি করে অর্থাৎ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নাম ওয়ারিশান নামা থেকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মালিকানা পিতৃসম্পদ তার অংশের অন্য দাগে ২০ শতক ভুমি জবরদখল করেন বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মুঠোফোন তিনি এ প্রতিনিধিকে তার ভূমির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান, এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সহকারী জজ আদালত, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জে স্বত্ব মোকদ্দমা নং ৪৭১/২০২১ইং তার ভাই মুহিবুর রহমান চৌধুরী গংদের বিরুদ্ধে দায়ের করিলে দীর্ঘদিন যাবত আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বত্ব মোকদ্দমার রায় পান তিনি। আউশকান্দি মৌজাধীন জে,এল,নং ১২৪,হালে ১২৭,এস,এ খতিয়ান নং ৬৪,আর,এস,খতিয়ান নং ২১০, ২১১,এস,এ দাগ নং ৫১২, ৫০৯,আর এস,দাগ নং ৪০৭, শ্রেণী আমন, মোয়াজী ০.২৭ একর মধ্যে ০.০৬ শতক ভুমি ও একই মৌজাধীন ৫৩ নং খতিয়ানের আর এস নং ২০৬,এস,এ দাগ নং ৪৪৩, আর এস দাগ নং ৩৫৪, শ্রেণী আমন মোয়াজী ৩৩ শতকের মধ্যে আরো ১৪ শতক ভূমি সহ মোট ২০ শতক ভূমির মালিকানা ফিরে পান তিনি। গত ২৪ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে স্বত্ব মোকদ্দমা নং ৪৭১ এর রায় পান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিজ্ঞ আদালতের আদেশে,বিবাদী মুহিবুর রহমান চৌধুরী গং গনের বিরুদ্ধে এক তরফা সূত্রে বিনা খরচে স্বত্ব সাব্যস্তক্রমে বাটোয়ারার প্রাথমিক ডিক্রি হয়। এছাড়াও আদালতের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক কমিশন দ্বারা নালিশী ভূমি বাটোয়ারা করে নেওয়ার অধিকারী হন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। উক্ত মোকদ্দমার আদেশের পরেও জবরদখলকারীরা এনিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর